লইট্টা মাছ, ইংরেজিতে বলা হয় Bombay Duck। কিন্তু শুনতে হাঁস মনে হলেও আসলে বৃটিশদেরই দেয়া এই নাম। বৃটিশ আমলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে লইট্টা শুটকি মালগাড়ি মেইল ট্রেনে বোম্বে আসতো। বৃটিশরা এই লইট্টা শুটকির চালানকে বলতো ‘মেইল’ বা ‘ডাক’। সেই থেকে ‘বোম্বে ডাক’। লইট্টা মাছ স্বস্তা মাছ। দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর এই লইট্টা মাছ। লইট্টা মাছ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্যে খুবই উপকারি। এই মাছের তেল দারুন এক ব্যথানাষক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও লইট্টা মাছ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
সরিষার তেল দিয়ে করা ঝাল ঝাল লইট্টা শুঁটকি ভর্তা সাদা ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই সুস্বাদু। জেনে নিন কীভাবে করবে লইট্টা শুঁটকি ভর্তা। উপকরণ
শুঁটকি- ৮টি
লবণ- স্বাদ মতো
সরিষার তেল- ৪ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ- ২টি
কাঁচামরিচ- ৭/৮টি
রসুন- ১০ কোয়া
পেঁয়াজ- ২টি
ধনেপাতা- ২ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
পেঁয়াজ ও রসুন ছোট করে কাটুন।
ধনেপাতা কুচি করে নিন।
শুঁটকি পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে টুকরা করে কাটুন।
ভালো করে ধুয়ে ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন শুঁটকির টুকরা।
চুলায় প্যান বসিয়ে ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল গরম করে সামান্য লবণ দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি বাদামি করে ভাজুন।
ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন একটি বাটিতে উঠিয়ে একই প্যানে আরও ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিন।
মিডিয়াম আঁচে শুঁটকির টুকরা বাদামি করে ভাজুন।
হালকা বাদামি থাকতে থাকতে তুলে নিন।
অতিরিক্ত ভাজলে শক্ত হয়ে যাবে।
এবার শুকনা মরিচ টেলে সামান্য লবণ দিয়ে মেখে নিন।
এরপর একে একে ভেজে রাখা সব উপকরণগুলো হাত দিয়ে ভর্তা করুন।
একদম ভেঙে ফেলবেন না শুঁটকি।
ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে বাটিতে সাজিয়ে পরিবেশন করুন শুঁটকি ভর্তা আর সাথে যদি থাকে আমের টক ঝাল মিষ্টি আচার তাহলে তো কথায় নেই।
কোথায় এবং কিভাবে পাবেন?
লইট্টা শুঁটকি সরাসরি কক্সবাজার থেকে সংগ্রহ করা হয় চুইঝাল এর তত্তাবদায়নে। এটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে শুকানো হয়। কোন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। আর এটাই একমাত্র বাংলাদেশ মৎস গবেষণা কেন্দ্রে স্বীকৃত পন্য।