আদালতের রায় মাথায় রেখে রাজধানীর উত্তরায় চলছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ’র নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। দুই তলা বেসমেন্টের ওপর ১৩ তলা এই ভবনের ১ম ও ২য় পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে, চলছে ৩য় পর্যায়ের কাজও।
প্রকৌশলী জানান, দুই অংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে। তৃতীয় ধাপের কাজও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
পুরানো ভবন ছাড়তে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তবে নতুন ভবনে বিজিএমইএ’র দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানালেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, এই বিল্ডিং যে আমরা ছেড়ে দেবো, এখানে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। তবে ১২ এপ্রিলের মধ্যে যাওয়া আমার মনে হচ্ছে কোন মতে সম্ভব নয়।
এই ভবন সরাতে বারবার সময়সীমা বাড়ালে আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের ভিন্ন ধারণা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন মামলার অ্যামিউকাস কিউরি মোনজিল মোরশেদ।
তিনি বলেন, আদালত নিজেই বলেছেন আর কোন সময় দেওয়া হবে না। যদি তারা না যায়, সেক্ষেত্রে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার মামলা করতে পারেন।
আগামী ১২ই এপ্রিলের মধ্যে কোন অফিসিয়াল কার্যক্রম যে নতুন ভবনে স্থানান্তর সম্ভব না তার বাস্তবচিত্র দেখা যায় সেখানকার বিশাল কর্মযজ্ঞে। আগামীতে নতুন করে সময়সীমা বাড়ানো হবে, নাকি আগের সময়সীমাই বহাল থাকবে তা নির্ধারণ করবেন দেশের উচ্চ আদালত।