দুর্নীতি দমন কমিশন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সেখানে বিমানে ৮টি খাতে এবং সিভিল এভিয়েশনে ১১টি খাতে দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশও করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান সচিবালয়ে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর কাছে রোববার এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
দুদক কমিশনার বলেন, বিমানের ক্রয় ও বিমান লিজ, রক্ষণাবেক্ষণ, টিকিট বিক্রয়, কার্গো এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট, ক্যাটারিং খাতসহ ৮টি খাতে দুর্নীতির উৎসের কথা এই প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ৮টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা এই প্রতিবেদনে রয়েছে।
মোজাম্মেল বলেন, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ এর জন্য গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিম ওই প্রতিষ্ঠানের ক্রয় খাত, সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজ, কনসালটেন্ট নিয়োগে, বিমানবন্দরের স্পেস/স্টল ও বিলবোর্ড ভাড়া, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজসহ ১১টি খাতের দুর্নীতির উৎসের কথা উল্লেখ করেছে।
দুদক কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন দুর্নীতির জনশ্রুতি রয়েছে এমন ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ/অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সফলতা ও সীমাবদ্ধতা, আইনি জটিলতা, সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও দুর্নীতির কারণসমূহ চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমকে নির্দেশ দেয়। কমিশনের নির্দেশনার আলোকে এসব টিম প্রতিবেদন দাখিল করছে।
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এজাতীয় প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি টেনে দুদক কমিশনার বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
দুদক কমিশনার বলেন, দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির প্রবহমান গতিকে অব্যাহত রাখতে হলে দুর্নীতি প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্বল করতে হলে সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে।
এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী দুর্নীতি দমন কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শুধু দুর্নীতি নয়, যারা কাজে অবহেলা করবেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিবাজদের স্থান নেই।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বক্তব্য দেন।