হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাঁচ নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত ও একজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
আজ সোমবার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘ময়ুরপঙ্খী’ নামে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার তদন্তের স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় পর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিমান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিমান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) উইং কমান্ডার চৌধুরী জিয়াউল কবির, সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব) আলমগীর এবং বিমানের পরিচালক (প্লানিং) এয়ার কমোডর (অব) মাহবুব জাহান খান।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সে জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরখাস্তরা হলেন, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সশস্ত্র নিরাপত্তাপ্রহরী মো. ইউনুস হাওলাদার, হেভি লাগেজ গেটে (উত্তর) স্ক্যানিংয়ের নিরাপত্তা সুপারভাইজার মো. লেহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের কেবিন ব্যাগেজ স্ক্যানিং গেটের অপারেটর আনসার সদস্য আলীম হোসেন, বডি সার্চার আনসার সদস্য মাহফুজুর রহমান এবং হেভি লাগেজ গেটের (উত্তর) বডি সার্চার আনসার সদস্য সাদ্দাম হোসেন।
এ ছাড়া এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) সদস্য পোস্ট সুপারভাইজার সার্জেন্ট সাজেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে সংযুক্ত করা হয়েছে।