শাহজাহানপুরে
২৫ একর
জায়গাজুড়ে রেল
কলোনির ৮০
শতাংশই চলে
গেছে দখলদারদের
হাতে। অলিগলি,
রাস্তা, বাসার
প্রবেশমুখ, বাদ
নেই কোন
জায়গা। কর্মচারি
ভবনের গাঁ
ঘেঁষে সামনে
পিছনে গড়ে
উঠেছে শত
শত স্থায়ী
দোকানপাট। এগুলোর
গ্যাস, বিদুত্যের
সংযোগও সরকারি,
যা নিয়ন্ত্রন
করে স্থানীয়
প্রভাবশালীরা। ফলে
যেন নিজ
বাসাতেই যেন
পরবাসি বরাদ্দ
পাওয়া রেল
কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
এক দোকানী
বলেন, ‘দোকান
আমি ভাড়া
নিয়েছি। মালিক
দূরে থাকে।’
অপর এক
দোকানী বলেন,
‘অন্যরা যেভাবে
দোকান ভাড়া
নিয়েছে আমিও
সেভাবেই ভাড়া
নিয়েছি।’
শুধু এখানেই
শেষ নয়,
বসত ঘরের
সাথে দখলদাররা
গড়ে তুলেছেন
পঞ্চাশের অধিক
রিক্সা, ভ্যান
ও মোটর
গ্যারেজ। আছে
ভাঙারির ব্যাবসা।
যেভাবে পেরেছেন
দখল নিয়ে
গড়েছে হাজার
খানেক বস্তিঘর।সরকারি
গ্যাস বিদ্যুৎ
বলে, অন্য
বস্তির চেয়ে
ভাড়াও বেশী
এখানে। ত্রিশ-চল্লিশটি
ক্লাব সমিতির
নামে দখল
করা হয়েছে
কলোনির জমি।
ঘর ভাড়া
নেয়া এক
নারী বলেন,
‘প্রতি মাসে
আমরা ৩
হাজার টাকা
ঘর বাড়া
দেই। একজন
আছে লাট
মিয়া। ওনাকে
ভাড়া দেই।’
তবে স্থানীয়রা
বলছেন, ‘এমন
একটা যায়গা
নেই সেখানে
বস্তি ঘর
নাই। এখানে
নেশা করে,
এখানে প্যাথেডিন
নেয়। সবকিছু
এখানে হয়।
কলোনি জুড়ে
বহিরাগতদের অবাধ
দখল আর
অবাধ নিয়ন্ত্রনে
অরক্ষিত হয়ে
পড়েছে কলোনি,
চলছে নানা
ধরনের অপরাধ
তাই দখল
হওয়া জমি
উদ্ধারের দাবি
শ্রমিক নেতাদের।
নেতারা বলছেন,
রাস্তা-ঘাটে
সমস্যা হচ্ছে।
বৃষ্টি হলে
পানি জমে
যায় দখলের
কারণে। এখন
এই মুহুর্তে
এটা উচ্ছেদ
করা উচিৎ।
কলোনির জমি
দখলের বিষয়টি
নিয়ে কথা
বলতে গেলে,
রেগে যান
রেলপথমন্ত্রী।
রেলপথ মন্ত্রী
নুরুল ইসলাম
সুজন উল্টো
সাংবাদিককে প্রশ্ন
করে বলেন,
‘এই ডিমান্ড
আপনি করছেন
কেন? এই
ডিমান্ড করার
কথা ওখানে
আমার রেলের
যেসব লোকজন
আছে তাদের।
আপনি এই
খবর নিয়ে,
হোয়াট ইজ
ইওর পারপাস?
এ ধরণের
সাংবাদিকতা খুব
ছোট চিন্তা।’
১০৮টি চারতলা
ভবনে প্রায়
আড়াই হাজার
রেল কর্মকর্তা-কর্মচারি
পরিবার বসবাস
করেন শাহজাহানপুর
রেলওয়ে কলোনিতে।