সরকার বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পাতাল রেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এটিই হবে দেশের প্রথম পাতাল রেল।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানানো হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার এ উত্তর পূর্বনির্ধারিত ছিল।
উল্লেখ্য, সংসদের প্রশ্নোত্তর লিখিত হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা আগেই উত্তর দেয়ার পর তা ছাপানো হয়। গুরুতর অসুস্থ ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়া হলেও তার প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
সেতুমন্ত্রী জানান, বিমানবন্দর-বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩- খিলক্ষেত-যমুনা ফিউচার পার্ক-নতুন বাজার-উত্তর বাড্ডা-বাড্ডা-হাতিরঝিল-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর; এই রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার (মূল পাতাল রেল ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার এবং আন্ডারগ্রাউন্ড এলিভেটেড ট্রানজিশন সেকশন ৩ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার)। এ রুটেই বাংলাদেশে প্রথম পাতাল রেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, এই রুটে মোট স্টেশন (আন্ডারগ্রাউন্ড) সংখ্যা ১২টি। আর ৭টি স্টেশন হবে এলিভেটেড। নতুন বাজার ও যমুনা ফিউচার পার্ক স্টেশনদ্বয় বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ড নির্মিত হবে। নতুনবাজার স্টেশনে ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। এ ইন্টারচেঞ্জ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাতায়াত করা যাবে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে পাকা সড়কসংলগ্ন কিছু অব্যবহৃত ভূমিতে অসাধু ব্যক্তিরা দোকানপাট বা বাজার তৈরি করেছেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই এ সব অবৈধ দখলরোধে মনিটর করা হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে অবৈধ দখলকৃত ভূমি উদ্ধার কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। তথ্য পাওয়া বা নজরে আসা মাত্র অবৈধ দখলকৃত ভূমি উদ্ধার কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।