ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী দল লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে জননিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে কোটভালওয়াল কারাগারে পাঠানো হয়। এই আইনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের দুই বছর পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক রাখা যায়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের আরো অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় পুলিশ। তবে এতদিন তাকে পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফে’র ৪৪ জন সদস্য নিহতের পর থেকেই ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করার পর অঞ্চলটিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। এতে তিনশ’রও বেশি জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ অভিযানে জামায়াত ছাড়া অন্যান্য অনেক দলের নেতা-কর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হলেন ইয়াসিন মালিক।
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের এক সিনিয়র নেতা আল জাজিরাকে বলেন, এই সরকার নির্যাতন-নিপীড়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কেউ কথা বলতে চাইলেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইয়াসিন মালিকের এলাকা মাইসুমার দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে ধর্মঘট করে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, কিছু যুবক ও শিশুরা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে। স্বাধীনতাকামী দলগুলোর জোট দ্য জয়েন্ট রেসিস্ট্যান্স লিডারশীপ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।