সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চাপ দিয়েছে আমেরিকা। পুলওয়ামায় হামলার পর থেকে কার্যত একঘরে পাকিস্তান, আর তারইমধ্যে এবার এই আবেদন সামনে এসেছে৷
জানা যায়, মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের উপমুখপাত্র রবার্ট
পালাডিনো বলেন,
পাকিস্তানের কাছে
এই
অনুরোধ
করা
হবে
যাতে
সে
বারবার
এবং
স্থায়ীভাবে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ
করে
এবং
ভবিষ্যতে যে
কোনও
হামলা
হওয়াকে রুখে
দেওয়া
যেতে
পারে।
পালানডিনো এক
সংবাদ
সংস্থাকে জানান,
সন্ত্রাস প্রতিরোধে পাকিস্তানের ভূমিকার উপর
নজর
রাখছে
আমেরিকা। সেই
সঙ্গে
এক
প্রশ্নের জবাবে
তিনি
আরো
বলেন,
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের
আনা
অভিযোগ
নিয়ে
সব
তথ্য
তাঁদের
কাছে
পৌঁছেছে। প্রতিটি অভিযোগ,
রিপোর্ট গুরুত্ব দিয়ে
দেখছে
আমেরিকা৷
এদিকে
আন্তর্জাতিক চাপের
মুখে
জঙ্গিদের রীতিমত
ধরপাকড়ও শুরু
করেছে
পাক
সরকার।
পাক
সেনার
মুখপাত্র মেজর
আসিফ
গফুর
আর্জি
বলেন,
সবাই
যেন
শুধুই
দোষারোপ না
করে
তাদের
সাহায্যও করে।
বুধবার
এক
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে
গিয়ে
তিনি
বলেন,
‘কেউ
যদি
পাকিস্তানের মাটিতে
অন্য
দেশের
বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে,
তাতে
পাকিস্তানের কোনও
স্বার্থ নেই।
পাকিস্তানকে শুধুই
দোষারোপ না
করে
বিশ্বের উচিৎ
সন্ত্রাস দমনে
পাকিস্তানের পাশে
দাঁড়ানো। যাতে
পাকিস্তানের মাটি
থেকে
এইসব
সংগঠন
সরিয়ে
ফেলা
যায়।’
জেনারেল আসিফ
গফুর
সিএনএন-কে সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদ নেই৷
এই
সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে
রাষ্ট্র। পাকিস্তানের মাটি
থেকে
ওই
সংগঠন
পুলওয়ামা হামলার
দায়
নেয়নি।
পাকিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করা যাবে না। অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি জইশের মাথা মাসুদ আজহার পাকিস্তানে আছে বলে স্বীকার করেন৷