আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আজ রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিম জানান, পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের আজই ছিল শেষ দিন। মূলত দুটি কারণে নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি জানান, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর থেকে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি হজ এজেন্সি সর্বনিম্ন ১০০ জন যাত্রী হজে পাঠাতে পারবে মর্মে সম্প্রতি সৌদি সরকার নীতিগত সম্মতি প্রদান করে।
সম্মতি প্রদানের চিঠিটি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়। আবার ১০০ জন হলেই এককভাবে এজেন্সি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পাঠাতে পারবে সিদ্ধান্ত হলে অনেক এজেন্সি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাত্রী পাঠানোর সুযোগ পাবে। মূলত এ দুটি কারণেই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার।
ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রকাশিত হজ নিবন্ধন বুলেটিনে (৯ মার্চের তথ্য) দেখা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই ধরনের প্যাকেজের মধ্যে প্যাকেজ-১ এ এক হাজার ৬৬২ ও প্যাকেজ-২ এ তিন হাজার ২৫ জনসহ মোট চার হাজার ৬৮৭ নিবন্ধিত হয়েছেন।
নিবন্ধনের জন্য অবশিষ্ট আছেন দুই হাজার ১২৯ জন। নিবন্ধনের জন্য ভাউচার পেন্ডিং ৩১৫ জনের। ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৩ জনের।
অপরদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হয়েছেন ১৫ হাজার ২২০ জন। নিবন্ধনের জন্য অবশিষ্ট এক লাখ এক হাজার ৫২৬। নিবন্ধনের জন্য ভাউচার পেন্ডিং আছে ১২ হাজার ৯২৩ জনের। ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে ৫৭ হাজার ২০ জনের। নিবন্ধনের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী এজেন্সির সংখ্যা ৪৭০টি।