পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের সৈন্য মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো চু্ক্তি হয়নি। দু্ই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই স্মারকে তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় আছে। এই সমঝোতা স্মারকের ফলে দেশের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনের প্রশ্নই আসে না।
আজ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরোধিতা করে সংসদে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। তাঁরা বলেছিলেন, এই চুক্তি সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র। ধর্মীয় অনুভূতির কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে সৌদি আরবের গুরুত্ব অত্যধিক। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সৌদি আরবের এক সহযোগী বন্ধু।
এ ছাড়া পবিত্র মক্কা, মদিনার ওপর কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় সৌদি আরবের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংসদ সদস্যদের আশ্বস্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবে সৈন্য মোতায়েনসংক্রান্ত কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। বরং বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। যার মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন, শিক্ষা, সামরিক তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, প্রতিরক্ষা শিল্প সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ, পরিদর্শন, দক্ষতা বিনিময়, সামরিক চিকিৎসা ও গবেষণা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিনোদন, প্রযুক্তিবিষয়ক আলোচনা, সামরিক সদস্যদের পারস্পরিক বিনিময়, সামরিক সুরক্ষা ও জলদস্যুতা প্রতিরোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, এই স্মারকের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা এবং বাংলাদেশের সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। শেখ হাসিনার সরকারের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো দৃষ্টান্ত অতীতে ছিল না, এখনো নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।