’ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র আগের রাতেই হয়েছে’

ডেস্ক রিপোর্ট

ছবি : সংগৃহিত

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেছেন, অনেকে নতুন করে ভোটের কথা বলছেন। এ দাবি হাস্যকর। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনা করতে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, তাই আমরা নিয়ম মেনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট ভর্তি বাক্স পাওয়া যায়নি। কিন্তু নুরু, স্বতন্ত্র প্রার্থী জোট, লিটন নন্দীরা এবং ছাত্রদল এরা সবাই একজোট হয়েছে। তারা সবাই একত্রিত হয়েছে। তারই ফল আজকের এই ঘটনা।

তিনি আরো বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য আগের রাতেই ষড়যন্ত্র হয়েছে। আজকে (সোমবার) তার সফল মঞ্চায়ন হয়েছে। কারা এই ষড়যন্ত্র করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দী, কোটা আন্দোলনের নুরুল হক নুরু ও ছাত্রদলের অনিক।

শোভন বলেন, নূর ল্যাবএইড হাসপাতালে আছেন। সেখানে তাকে গিয়ে দেখে এসেছি। তার শরীরের তাপমাত্রা বেশি। চিকিৎসক বলেছেন, তার শরীরে কোনো আঘাত নেই।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বেলা ১১ টা ১০ মিনিট থেকে ওই হলে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

পরবর্তীতে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, ভোগ্রহণে বাধা এবং কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ চার প্যানেল।

পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে। আর অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। পরে তারাও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি’রা কার্যালয় ঘেরাও করে।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫ পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ২২৯ জন; ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪টি পদে বিপরীতে প্রার্থী ৫০৯ জন। ১২টি প্যানেলের বাইরে ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ২ জন স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১ জন; তাদের সঙ্গে এই নির্বাচনে ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ১৩ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন। মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। তাদের মধ্যে ৫টি ছাত্রী হলের ভোট ১৬ হাজার ৩১২।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে