ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করতে বেশ উত্তপ্ত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। ভোট বর্জনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও অবস্থান নিয়েছে।
নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলো নির্বাচন বাতিল না করা পর্যন্ত ভিসি অফিসের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে ।
আজ সোমবার বিকেলে প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে এসে তারা এমন ঘোষণা দেন।
নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিল দাবিতে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ৫টি প্যানেলের প্রার্থীরা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানে বাধা দান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কারচুপি, প্রার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরি, ভোট দেয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোনোক্রমেই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করা যাবে না।
এর আগে সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় চারটি প্যানেল। এ সময় ছাত্রদলও তাদের সমর্থন দেয়।
দুপুর ১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট। ছাত্রদলও তাদের সমর্থন দিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।