ডাকসু নির্বাচন : প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নুরু-লিটনের বিরুদ্ধে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরু। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না এ অভিযোগ দায়ের করেন। এতে দুই ভিপি প্রার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরু ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

universel cardiac hospital

অপর তিনজন হলেন- জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেন যে, ট্রাকভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন। এ পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান রাতে মত ও পথকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি থানার বাইরে রয়েছেন। তবে ঢাবির এক শিক্ষার্থী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে