ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের সংসদে আজ মঙ্গলবার ভোটাভুটি। চুক্তি অনুমোদন পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর অনুমোদন না পেলে দীর্ঘ দুই বছরের সমঝোতার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হবে, সে ক্ষেত্রে গণভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত না হওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো হবে।
আজকের ভোটাভুটির ফলাফলের ওপর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে। এবার চুক্তি পাসে ব্যর্থ হলে তাঁকে দ্রুত নেতৃত্ব থেকে বিদায় নিতে হবে বলে জোর গুঞ্জন চলছে।
২৯ মার্চ ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা। গত নভেম্বরে উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের সংসদ বিপুল ভোটে সেই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।
চুক্তিতে উল্লেখিত আয়ারল্যান্ড সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার কৌশল ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের আপত্তি। ওই ব্যবস্থার ফলে যুক্তরাজ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ইইউর অধীনে আটকা পড়বে বলে আশঙ্কা। ব্যাকস্টপ ব্যবস্থা বাতিল কিংবা এর মেয়াদ নির্দিষ্ট করা হলে চুক্তিতে সমর্থন দেবেন বলে জানান আইনপ্রণেতারা। ফলে চুক্তিতে উল্লেখিত ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংশোধনে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে থেরেসা মের সরকার। কিন্তু ইইউর তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
আজ মঙ্গলবারের ভোটকে সামনে রেখে গত শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও দফায় দফায় বৈঠক করেছে উভয় পক্ষ।