বিআইডব্লিউটিএ পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে দখলমুক্ত হচ্ছে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরভূমি। ভূমিদস্যুদের দখল থেকে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে নদীর জায়গা।
এবারের টানা উদ্ধার অভিযানকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে দখলকারীরা। ফলে কোনো নির্বিবাধে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।
ধারাবাহিক অভিযানের ১৬তম দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় মোহাম্মদপুরের ‘ঢাকা উদ্যান’ এলাকায়।
দিনব্যাপী অভিযানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনের অভিযান ছিল আজ।
আজ শুরুতেই ভাঙা পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেনের স্থাপনা। তিনি আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ঢাকা উদ্যান ঘাটে নদীর ২০ ফুটের বেশি জায়গা দখল করে তার গড়ে তোলা স্থাপনা ভেঙে দেয় অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থা।
অভিযানে অংশ নেওয়া বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, জিপিএসের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে নদীর জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা। আজ একটি চারতলা ভবন, দুটি তিনতলা, ৫টি দোতলা, ৬টি একতলা ভবনসহ ১৪টি পাকা স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়।
এ ছাড়া ৩টি আধাপাকা ভবন, তিনটি সীমানা দেয়াল, ১৫টি পাথর ও বালির স্তূপ, ২০টি টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত জানান, পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে আবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
এর আগে অভিযানের প্রথম পর্যায়ে ১২ কার্যদিবসে ১ হাজার ৭২১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দেশে প্রথমবারের মতো একটানা আপোষহীন অভিযানের ফলে গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। ফলে কোনো বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে না অভিযানে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বের তিন কার্যদিবসে উচ্ছেদ করা হয় নদীর বিশাল জায়গা দখল করে গড়ে তোলা আমিন-মোমিন হাউজিং। প্রায় ১৫ একর জায়গা দখল গড়ে রাজউকের একজন ঠিকাদারের গড়ে তোলা এলাকাটি উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে আরো গুরুত্ব পায় বিআইডাব্লিউটিএর অভিযান।
দ্বিতীয় পর্যায়ের চলমান অভিযান চলবে আরো আট দিন। এরপর তৃতীয় পর্যায়ে ১২ কার্যদিবস অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে।