জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশ সার্জেন্ট আজহার আলীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন এই রায় দেন।
একই সঙ্গে আদালত সার্জেন্ট আজহার আলীর সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ রায় ঘোষণার আগে আজহার আলী আদালতে হাজির হন। দণ্ডিত হওয়ার পর আজহার আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আজহার আলীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে।
জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আজহার আলীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে। তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৪ জুন দুদকের উপপরিচালক মোনায়েম হোসেন আজহারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সার্জেন্ট আজহার আলীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানানো হয়, সার্জেন্ট আজহার আলীর গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে বাড়ি আছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
তিনি জানান, আজহার আলী অবসরে আছেন। এ মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবদুর রাজ্জাক মিয়া।