ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর করতে খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ওই চুক্তির প্রতি সমর্থন আদায়ে দ্বিতীয়বারের মতো তা সংসদের সামনে পেশ করেছিলেন মে। কিন্তু সেটি আবারো প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ৩৯১ জন আইনপ্রণেতা চুক্তিটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৪২ জন।
ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে মে সরকারের কৌশল ঘিরে আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলো।
এবারের খসড়া প্রস্তাবও বাতিল হওয়ার কারণে এখন কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিনের আলোচনার পর একটি সমঝোতায় এসেছিলেন টেরেসা মে। এই খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টের সামনে পেশ করেন তিনি।
কিন্তু ৩৯১-২৪১ ভোটের ব্যবধানে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত জানুয়ারিতেও মে’র পেশ করা ব্রেক্সিট চুক্তি প্রস্তাব ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এমপিরা।
আগামী ২৯ মার্চ আনুষ্ঠিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার কথা যুক্তরাজ্যের। সে ক্ষেত্রে কোনো চুক্তি ছাড়াই দেশটি ইইউ থেকে বেরিয়ে আসবে কিনা, এখন সে সিদ্ধান্ত এমপিদেরই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বুধবার আবার ভোট দেবেন আইনপ্রণেতারা; আর তা ব্যর্থ হলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত হবে কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় খসড়া প্রস্তাব বাতিল হওয়ায় সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প চুক্তিটিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিষয়েও করবিন সতর্ক করেছেন।
এদিকে ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয় বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। পরিস্থিতি নিরসনে ব্রিটেনকেই সমাধান বের করতে হবে জানান তিনি।
ব্রেক্সিট প্রস্তাবটি বাতিল হওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বুধবার আলোচনায় বসছেন ইইউ’র ২৭ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।