আগামী ১৭ মার্চ থেকে রাজশাহীতে শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে শুরু হতে যাওয়া ১০ দিনের এ উৎসবে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
আজ বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উৎসব উদযাপনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আমরা এক বছর আগেই রাজশাহীতে সূচনা করলাম। এসব কর্মকাণ্ড আমাদের আগামী বছর আরও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আয়োজন করতে উৎসাহিত ও উজ্জ্বীবিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন। লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কবি আরিফুল হক কুমার।
তিনি বলেন, উৎসব উপলক্ষে লালনশাহ মুক্তমঞ্চে ৭ মার্চ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্যচিত্র, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। ১১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাট্যোৎসব। এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপাল থেকে আগত প্রখ্যাত নাটকের দলগুলো।
উৎসবের মূল পর্ব আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। ১৭ মার্চ নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল স্ট্রাস্ট এর সদস্য কবি শেখ হাফিজুর রহমান।
এই উৎসবে মহানগরীর প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নগরীর চারটি জনবহুল স্থানে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-উপদেষ্টা গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কামারুল্লাহ সরকার, শাহমখদুম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান, বর্তমান অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।