নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার আগেই হামলাকারী টুইটারে ৮৭ পাতার ইশতেহার (ঘোষণাপত্র) আপলোড করে হামলার ঘোষণা দেন। শুক্রবার জুমার নামাজ চলার সময় এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।
খুদে ব্লগ টুইটারে হামলাকারী নিজের পরিচয় দিয়েছেন ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামে। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে এসেছেন। হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আটকের সময় তাদের একজন সুইসাইড ভেস্ট পরা অবস্থায় ছিলেন।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডানও এ হামলাকে সুপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৪০ মুসল্লিকে হত্যা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী। এতে আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীর গাড়িতে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস যুক্ত করা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রীয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ২৮ বছর বয়সী ওই যুবক। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার সময় মসজিদের ভেতর থেকে সামাজিকমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন এ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী।