ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ আল নুরে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ৫০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধান এবং বিলম্ব করায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ওই সময় মসজিদে তখন উপস্থিত ছিলেন না। যে কারণে ক্রিকেটাররা বেঁচে যান।গোটা ক্রিকেটবিশ্বের মতো সাবেক পাকিস্তানি মহাতারকা শহিদ আফ্রিদিও দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে।
এই হামলার পর থেকেই সোশ্যাল সাইটে অসংখ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা নিন্দায় সরব হয়েছেন। বুম বুম আফ্রিদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের এক পোস্টে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অক্ষত থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ধর্ম নিয়ে ঘৃণার রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন আফ্রিদি।
সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক লিখেছেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ ট্র্যাজিডি! আমি সব সময় নিউজিল্যান্ডকে সবচেয়ে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে জানি। ওখানকার মানুষ খুবই বন্ধুসুলভ। তামিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দল ও কোচিং স্টাফরা সবাই নিরাপদে আছে জেনে নিশ্চিন্ত হয়েছি। এসব থামাতে এখন সারা বিশ্বকে একত্রিত হতে হবে! এভাবে ঘৃণা ছড়ানো থামান! সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য প্রার্থনা। আল্লাহ নিহতদের শান্তি দান করুন।’
উল্লেখ্য, আগামীকাল শনিবার থেকে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগের দিন এই হামলার ঘটনায় সেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা তামিম-রিয়াদরা ভীষণ মানসিক যন্ত্রণায় আছেন। তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।