উইমেন এন্ট্রাপ্রেনার নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েন্ড) দেশের অর্থনৈতিক ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখা ৮ নারীকে সম্মাননা দিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘সমতায় সমৃদ্ধি’-শীর্ষক নারী দিবস উদযাপন ও নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃতি নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মোহাম্মদী গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. রুবানা হক, ওয়েন্ড এর প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।
আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়েন্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীমা শিরীন লাইজু, সহ-সভাপতি আয়শা সিদ্দিকা, কোষাধক্ষ আনোয়ারা সিদ্দিকা, কো-কোষাধক্ষ জর্জিনা খালেদ, সাধারণ সম্পাদক জিসান আক্তার চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা রব, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস হুমায়রা আজম, বিউটি এক্সপার্ট ও স্টুডিও-২০০০ এর সত্ত্বাধিকারী মিসেস সুমনা হাসান, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এসিসট্যান্ট প্রফেসর ডা. নাজ ইয়াসমিন, সাংবাদিক নবনিতা চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক নীলিমা আক্তার, স্থপতি তানিয়া করিম, মনোবিদ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দর্পনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জাকিয়া আনাম এবং ফ্যাশন ডিজাইনার চন্দনা আর দেওয়ান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে নারীরা অবদান রাখছেন। ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে নারীকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ব্যবসায় যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ড. রুবানা হক বলেন, একজন নারী আরেকজন নারীর পাশে না দাঁড়ালে উন্নয়ন সম্ভব হবে না। নারীর প্রতি শুধু ভাষায় নয় আচরণে পরিবর্তে আনতে হবে। পুরস্কার আমাদের নয়। সম্মাননা দিতে হলে ৩০ লাখ গার্মেন্টসকর্মীকে দিতে হবে। কারণ আমরা নই সত্যিকার অর্থে আজকের দিনে তারাই আসল হিরো।
সভাপতির বক্তব্যে ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, বাংলাদেশের নারীরা বিশ্বের বুকে নিজেদের সফলতার পদাঙ্ক রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। এটি যে একদিনেই সম্ভব হয়েছে তা মোটেই নয়। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে ঘাম ঝরানো দীর্ঘ ইতিহাস। আমরা তেমনই কিছু ইতিহাস গড়া সংগ্রামী নারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। তাদের কয়েকজনকে সম্মাননা দিতে পেরে ওয়েন্ড সত্যিই গর্বিত।
আগামীতে আরও বড় পরিসরে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নীরবে কাজ করে যাওয়া নারীদের খুঁজে বের করে সম্মানিত করার চেষ্টা করবো। এজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।
নারীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান করে আসছে (ওয়েন্ড)। আর্থিকভাবে সক্ষম করে গড়ে তোলার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ও কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে সহায়তার পাশাপাশি উৎসাহ প্রদান করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।