নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও কয়েক জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেলেও বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছুড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কমপক্ষে দু’জন বন্দুকধারী ওই হামলা চালিয়েছে। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যখন তিনি মসজিদে হামলা চালাচ্ছিলেন তখন নিজেই তা লাইভ করেছেন। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে যে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের বাইরেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
হামলা চালানোর সমং সামাজিক মাধ্যমে লাইভে ছিলেন ওই হামলাকারী। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার লাইভ ভিডিও প্রচারিত হয়। হামলাকারী নিজেকে ব্রেনটন ট্যারেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান-বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ তিনি।
নিউ প্লাইমাউথে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিনডা আর্ডার্ন ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের জন্য একটি অন্ধকার দিন উল্লেখ করে এই হামলাকে চরম এবং নজিরবিহীন সহিংসতা বলেছেন।
আর্ডার্ন আরও বলেন, এই মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই আমি। এটাই হয়তো নিউজিল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে খারাপ একটি দিন।
হামলার পর পরই সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। হামলায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল বলেন, লোকজনের জন্য তার বার্তা হলো শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে থাকা। তিনি বলেন, যদি আপনারা এখানে থাকেন তবে যে যে ভবনে আছেন তার ভেতরেই অবস্থান করুন।