রাজধানী ঢাকায় আগামীকাল রোববার শুরু হচ্ছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ। মহানগরীতে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধিই এই ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহের মূল উদ্দেশ্য।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করা হবে। ট্রাফিক সপ্তাহ চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ট্রাফিক সপ্তাহ, ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ ও ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঢাকা নগরীর ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে।
রাজধানীর যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হচ্ছে- এমআরটি, বিআরটি এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি। চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে যান চলাচলে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও ট্রাফিক পুলিশের নিরলস তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং ক্রমাগত ট্রাফিক শৃঙ্খলা সংক্রান্ত গৃহীত কর্মসূচির ফলে ঢাকা নগরীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি এখন অনেকটাই দৃশ্যমান এবং পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রাখতে বর্তমানে প্রতিমাসে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ট্রাফিক সপ্তাহ পালন, একই বছরের ৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালন এবং ২৪ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালন করা হয়।
এছাড়া চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ পালন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক গাইড বুক প্রকাশ ও প্রচার, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, টার্মিনালে সভা সমাবেশ, সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন, লিফলেট, পোস্টার বিতরণ, পথচারীদের ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।