গত ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশে সীমান্ত–বাণিজ্যের আওতায় কাঠ ও পশু আমদানি বন্ধ ছিল। টানা ৫০ দিন ধরে এ দুটি পণ্য আমদানি বন্ধ থাকার পর গবাদিপশু আমদানি আবার শুরু হয়েছে।
তবে কাঠ আমদানি এখনো বন্ধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার দুই দফায় ১৪টি ট্রলারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডরে ২ হাজার ২৫২টি গবাদিপশু এসেছে মিয়ানমার থেকে।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত দুদিনে ১৪টি ট্রলার করে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৫৮০টি গরু ও ৬৭২টি মহিষ শাহপরীর দ্বীপ করিডরে আসে। এসব পশুর বিপরীতে মোট ১১ লাখ ২৬ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। অন্যদিকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এখনো মিয়ানমার থেকে কাঠ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে আচার, শুঁটকি, আদা, ছোলা ও হিমায়িত মাছ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা পশু আমদানিকারক সমিতির সভাপতি ও টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দীর্ঘদিন পরে পশু আমদানি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এসব পশু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, মিয়ানমার থেকে কিছু পণ্য আমদানি হলেও কাঠ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচুর পরিমাণের টাকা পড়ে থাকায় অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। উভয় দেশের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা খুবই প্রয়োজন।
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা শংকর কুমার দাস বলেন, গবাদিপশু ও কাঠ আমদানি ৫০ দিন বন্ধ থাকার পর গবাদিপশু এসেছে। তবে এখনো কাঠ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কাঠ আমদানি বন্ধ থাকায় দৈনিক সাত লাখ টাকার রাজস্ব আয় কম হচ্ছে।