বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি পুনর্গঠনের কাজ চলছে।
এ সময় তিনি জানান, দল পুনর্গঠনের পর ঐক্যবদ্ধভাবে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারে’র আন্দোলন শুরু হবে ।
আজ শনিবার দলের প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাঁচুরিয়ায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এর আগে প্রয়াত মহাসচিবের কবর জিয়ারত করেন বিএনপি নেতারা।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রয়াত মহাসচিবের দুই পুত্র খোন্দকার আকবর হোসে বাবলু ও খোন্দকার আকতার হামিদ ডাবলুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করছেন। গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহসহ রাজবন্দীদের মুক্তি এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে। বর্তমানে দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা হবে।
খোন্দকার দেলোয়ারের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সব সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্বের সাক্ষর রেখেছিলেন। স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোন্দকার দেলোয়ার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।