নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম জাকারিয়া ভূঁইয়া।
এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়াল ৫ জনে।
নিহতদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ এবং হুসনে আরা পারভীনের মৃত্যুর খবর প্রথম দিনই পাওয়া যায়। পরে মোজাম্মেল হক এবং মোহাম্মদ ওমর ফারুকের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত হওয়া যায়।
জানা যায়, হামলার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন জাকারিয়া ভূঁইয়া। স্থানীয় সময় আজ রোববার বিকালে তার লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল।
শুক্রবারের ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। এদের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ১৫ জনের; যার মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া আর মিসরের নাগরিকরা রয়েছেন।
নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় :
নিহত বাংলাদেশিদের একজন ড. আবদুস সামাদ। তিনি ক্রাইস্টচার্চে লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্বের শিক্ষক ছিলেন। এর আগে ড. সামাদ বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন। যে মসজিদে তার মৃত্যু হয়েছে সেখানে তিনি মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। বাংলাদেশে তার বাড়ি ছিল কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্লা গ্রামে।
নিহতদের আরেকজন হোসনে আরা ফরিদ। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের, জাঙ্গাঁলহাটা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ৪৫ বছরের মতো।১৯৯৪ সালে বিয়ের পরই তিনি স্বামীর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। এরপর থেকে সেখানেই থাকতেন।
স্বামী ফরিদউদ্দিন বেশ কয়েক বছর আগে একটি দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়েছেন। এরপর থেকেই তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। হামলার সময় তারা দুজনেই আল-নুর মসজিদে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডেই তাদের একটি মেয়ে হয়েছে। যার বয়স এখন ১৪ বছর।
নিহতদের মধ্যে ডা. মোজাম্মেল হকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। বাংলাদেশে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে দাঁতের ডাক্তারি পাস করেছেন। এরপর ডেন্টিস্ট্রির উর্ধ্বতর প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন ক্রাইস্টচার্চ।
আর নিহত ওমর ফারুকের বাড়ি গাজীপুরে বলে জানা গেছে। তবে জাকারিয়া ভূঁইয়া সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।