আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’ এর আঘাতে প্রায় ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪০ জন।গত শনিবার (১৬ মার্চ) দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছেন , এ ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা ৩১ ছাড়িয়েছে।
এছাড়া শতাধিক নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, পাশ্ববর্তী দেশ মোজাম্বিক ও মালাওয়িতে এ ঘূর্ণিঝড়টি শুরু হয়। তারপর এটি আরও শক্তিশালী ও তীব্রতর হয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিম্বাবুয়েতে আঘাত হানে।
এক টুইটার বার্তায় দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হতাহতদের বেশিরভাগই মোজাম্বিকের সীমান্তবর্তী শহর চিমানিমানি শহরের। চলমান এ ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে বহু ঘরবাড়ি ও ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে চিমনি শহরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং শস্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চিমানিমানি শহরের সংসদ সদস্য জশুয়া স্যাকো বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি দেশটিতে ১৯ বছর আগের হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের মতই ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিম্বাবুয়েতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’ য়ের কারণে দেশটিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে দেশটিতে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির বিমান বাহিনী। তবে প্রবল বাতাসের কারণে তাদের উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে।
২০১৯ সালেই তীব্র খরার কারণে জিম্বাবুয়েতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নতুন করে এ দুর্যোগের কারণে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।