সফররত বাংলাদেশ দলকে যথাযথ নিরাপত্তা না দেয়ায় ক্রিকেট বিশ্বে এখন নিউজিল্যান্ডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জাতীয় খেলোয়াড় ও ক্রিকেটপ্রেমীরা এক দিকে যেমন বাংলাদেশ দলের জন্য সহানুভূতি জানাচ্ছেন অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থার তুমুল সমালোচনা করছেন।
পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন আজারি নিজের অফিসিয়াল টুইট বার্তায় বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলার পর নিউজিল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ নিষিদ্ধ করা উচিত। এ বিষয়টা আইসিসির ভেবে দেখবে।
আমানউল্লাহ করিম নামের পাকিস্তানের এক নাগরিক টুইটবার্তায় বলেন, বাংলাদেশের উচিত ভবিষ্যতে আর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো ম্যাচ না খেলা। যেমন সামান্য হামলার অজুহাতে পাকিস্তানের মাটিতে শ্রীলংকা টিম আর আসছে না।
নুসরাত জাহান মিম নামের একজন টুইটবার্তায় বলেন, নিউজিল্যান্ড, তোমাদের জানা উচিত কীভাবে অন্য দেশের নাগরিকদের রক্ষা করতে হয়।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় ৪১ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৩০ জন। তবে অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সেই মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন তারা।
সেই হামলার কারণে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট বাতিল করে ক্রিকেটারদের দেশে ফেরত নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলংকান ক্রিকেট দলকে বহনকারী বাসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। লাহোরে সেই হামলার পর থেকে আজও পাকিস্তান যেতে সাহস পাচ্ছে না টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশ।