জাতির পিতার দেখানো পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : মোকতাদির চৌধুরী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

ছবি : পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
ছবি : পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

আজ রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শোভাযাত্রা শেষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের মাননীয় সাংসদ যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের শিখরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সারা বিশ্বব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ব্যাপক আয়োজনে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা ‘খোকা’ নামের সেই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে উঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। ‌শিশু/‌কি‌শোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। এরপর শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামী জীবনের পথযাত্রা।

বঙ্গবন্ধু তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করেন উল্লেখ করে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ’৪৭-এ দেশবিভাগ , ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ’৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর নাম চির ভাস্বর হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসর্কোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেন।এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কালজয়ী নাম। আজ সেই শিশু মু‌জিব এর অবস্থান বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম এবং বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতির অবিভাজ্য সম্পর্কের কোন পরিসমাপ্তি নেই। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির সগর্ব উপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ সিংহ পুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে।

মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেনআজকের শিশু আগামী জাতির কর্ণধার। তাই আমাদের উচিত প্রত্যেকটি শিশুকে ভালোবাসার চাদরে ঢেকে রাখা এবং আগামী জাতির কর্ণধার হিসাবে গড়ে তুলতে তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খাঁন পিপিএম বিপিএম, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে