গতকাল শনিবার রাতে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট মাইশ্যপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সমর্থন দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
নিহতরা হলেন রতন মোহন্ত (৫০) ও আফতাব উদ্দিন (৪৫)। গতকাল রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান। পুলিশ ও পরিবার এই দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
আহত ব্যক্তিদের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালাই উপজেলার সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমানের সঙ্গে একই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, ১০ মার্চ জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মিনফুজুর চেয়ারম্যান নির্বাচন হন। তবে মিনফুজুরের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপ মেনে নিতে পারেনি। তাঁরা মিনফুজুরের প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। ওই সমর্থকদের মধ্যে ওয়াজেদ আলীও ছিলেন।
এলাকাবাসীর জানায়, গত রাতে ওয়াজেদ আলীর সমর্থকেরা মিনফুজুরের সমর্থকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠলে মিনফুজুর রহমান তাঁর সমর্থকদের নিয়ে উদয়পুরের মসলিনগঞ্জ বাজারের দিকে যাওয়ার পথে সংঘর্ষ বাধে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ খান জানান, তাঁরা বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফতাবের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। আর রতনের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবার নিশ্চিত করেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হতাহত হওয়া ব্যক্তিরা মিনফুজুরের সমর্থক।