নানা অনিয়ম আর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে দেশের ১৬ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এটি বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৭৭ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩৯ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৪ জন লড়াই করছেন। ২৩ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত কম। সারা দেশের কোনো কোনো কেন্দ্রে ৪-৫ শতাংশ ভোট প্রদানের খবর পাওয়া গেছে। রাতেই সিল মারা, সকালে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোটসহ নানা অভিযোগে অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ভোট বর্জন করেছেন। অনেক উপজেলায় খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীও বর্জন করেছেন।
গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় ভোট হয়, ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে ভোট হয় ৭৮ উপজেলায়। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হন ২৮ জন।
আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ও ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের পর জুনে পঞ্চম ধাপের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। দেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮০ টিতে এবার ভোট হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১২ টি উপজেলায় এবছর ভোট হবে না। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ৬ ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল। আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন করতে হচ্ছে।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে ৬ ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি।