কাল থেকে শুরু হচ্ছে লালন মেলা

সংস্কৃতি ডেস্ক

লালন
লালন
২০ মার্চ থেকে ছেঁউড়িয়ায় শুরু হচ্ছে লালন মেলা, চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত। এই উৎসবে রাতভর চলবে লালন সংগীতের আসর। বছরের এই তিনদিন দিন লালন আখড়া থাকবে জমজমাট।

লালন মেলা উপলক্ষে আখড়াবাড়ীর লালন মাজারকে সাজানো হয়েছে নানা সাজে। প্রধান ফটক আর মূল মাজারে সাদা, লাল, নীল আলোকসজ্জা, বিশাল তোরণ নির্মাণ ও মাজারের বাইরে কালী নদীর ভরাটকৃত জায়গায় স্থাপিত লালন মঞ্চের সামনে বিশাল ছামিয়ানা টাঙানো হয়েছে।

আলোচনা মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসেছে গ্রামীণমেলা। মেলায় নানা রকম গৃহসামগ্রী, কাঠের তৈরি সাংসারিক নানা জিনিসপত্র, গরম জিলাপি, পাঁপড় ভাজা, লালনের গানের সিডি, গেঞ্জি, শন পাঁপড়ি, আখের শরবত, খই-বাতাসাসহ হরেক রকম পসরায় জমজমাট আয়োজন।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে দু’ভাবেই যাওয়া যায়। বাসে গেলে কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিউ এসবি সুপার ডিলাস্ক, শ্যামলী, হানিফ বাসে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট এ নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে যে কোনো রিকশা/অটো নিয়ে লালন মাজারে যাওয়া যায়। বাসের ভাড়া নন এসি ৪৫০-৫০০ টাকা, এসি ৬০০-৬৫০ টাকা।

ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস অথবা চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকালে ও চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যায় কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনে গেলে আপনাকে পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে নামতে হবে। ভেড়ামারা বা পোড়াদহ থেকে বাস বা সিএনজি তে করে কুষ্টিয়া শহরে এসে রিকশা অথবা অটো যেতে পারেন উৎসবে।

থাকার ব্যবস্থা: মজমপুর গেট, শাপলা চত্বর, এন এস রোড, বড় বাজার এ বিভিন্ন হোটেল আছে। এরমধ্যে হোটেল আজমীরি, প্রীতম হোটেল (মজমপুর গেট), নূর ইন্টারন্যাশনাল, বড়বাজারের জুবলি হোটেল, হোটেল লিবার্টি অন্যতম। এছাড়া থাকার জন্যে শহরেই মানসম্মত অনেক হোটেল পাবেন। এরমধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড স্টার, সানমুন অন্যতম।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে