নিউজিল্যান্ডের পর অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

ডেস্ক রিপোর্ট

অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া

সরকার ক্রাইস্টচার্চে মুসল্লিদের ওপর অস্ট্রেলিয় বংশোদ্ভূত শেতাঙ্গ বন্দুকধারীর চালানো হামলার প্রেক্ষিতে এবার অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এর আগে নিউজিল্যান্ড ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ডানপন্থী শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের গুলিতে ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন অন্তত ৪৮ জন। নৃশংস এ হামলার কারণ হিসেবে দেশটির ইমিগ্রেন্টকে দায়ী করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেসার অ্যানিং।

নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর শেতাঙ্গ বন্দুকধারীর চালানো স্মরণকালের ইতিহাসে বর্বরোচিত এ হামলাকে সন্ত্রাসী ঘটনার পরিবর্তে এটিকে ‘সহিংস সতর্কতা’ বলে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এ রক্তপাতের কারণ হিসেবে অ্যানিং বলেন, নিউজিল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা মুসলিম ধর্মান্ধদের অনুমোদন দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার একজন আইনপ্রণেতার এ রকম উগ্রপন্থি অবস্থান দেশটিতে বর্ণবাদী মনোভাব উসকে দেওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বক্ষণিক, বিশেষত জনসমাগমস্থলে, সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মিডিয়া ও স্থানীয় অন্যান্য সূত্র থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

ক্যানবেরায় বাংলাদেশের হাই কমিশন নাগরিকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪, +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪, +৬১৪৫০১৭৩০৩৫ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন্ট ট্যারান্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুক হামলা চালালে ৫০ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রয়েছেন। এছাড়া আরও তিনজন বাংলাদেশি আহত অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হামলার আগে তিনি নিজেকে একজন বর্ণবাদী অভিহিত করে ৭৪ পৃষ্ঠার একটি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একজন সিনেটর এক বিবৃতি ইস্যু করে মসজিদে হামলার জন্য মুসলিমদের দায়ী করেন। অস্ট্রেলিয়ার একজন আইন প্রণেতার মন্তব্যের পর আশঙ্কা করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদ বাড়তে পারে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে