নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেখট শহরে যাত্রীবাহী ট্রামে বন্দুক হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। তবে হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
ট্রামের ভেতর ওই বন্দুকধারী হামলাকারী হলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত ৩৭ বছর বয়সী গোকমেন তানিস। ডাচ পুলিশ তানিসের একটি ছবি প্রকাশ করে তাকে ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল (১৮)’মার্চ সোমবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানী ইউট্রেখটে একটি ট্রামে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্সের।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি ইউট্রেখটের পুলিশের বরাত দিয়ে বলছে, সিটি সেন্টারের পাশে অবস্থিত শহরের একটি ট্রাম স্টেশনের কাছে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ইউট্রেখট শহরের মেয়র জ্যান ভ্যান জানিন টুইট বার্তায় আহত নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র জুস্ট ল্যানশ্যাগে বলেছেন, একটি ট্রামে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এটি সন্ত্রাসী হামলা। এ ঘটনায় শহরজুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরের মসজিদ, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এ গোলাগুলির পর থেকে ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলাচলের জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আরটিভি জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে এক নারীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে অনেক মানুষকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন তিনি।
এ ঘটানায় ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, ট্রাম স্টেশেন হামলার পর সংকটকালীন জরুরি বৈঠকে বসেছে সরকার। এদিকে ইউট্রেখটের পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের সব ট্রাম সেবা বন্ধ ঘোষণা করেছে তারা।
এর আগে গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৪৮জন। নিহতদের মধ্যে চার বাংলাদেশিও রয়েছেন।
নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ বাংলাদেশি। ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পথচারীর খবরে ভাগ্যক্রমে হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর শেতাঙ্গ বন্দুকধারীর চালানো স্মরণকালের ইতিহাসে বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে।
সূত্র: ডাচ নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স, আরটি ও নিউইয়র্ক টাইমস।