বাংলাদেশে ভারতের পর এবার ভুটান ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পেতে যাচ্ছে।
আগামী মাসে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিংয়ের ঢাকা আসার কথা রয়েছে। ওই সফরেই ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ (এসওপি) সই করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকায় সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় ভুটানকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়া হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় ট্রান্সশিপমেন্টের এসওপির প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্ত হয়।
জানা গেছে, ওই খসড়াটি ভুটানে পাঠানো হবে। ভুটান কোনো সংশোধনী না চাইলে এটিই চূড়ান্ত হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসওপি প্রায় চূড়ান্ত হলেও ফি চূড়ান্ত হয়নি। ফি নিয়ে আরেকটি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। সেটি ভারতের প্রদেয় ট্রান্সশিপমেন্ট ফির কাছাকাছি হতে পারে।
এসওপি প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘প্রটোকল অব ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের’ (পিআইডাব্লিউটিটি বা নৌ প্রটোকল) আওতায় যে নৌরুটগুলো রয়েছে সেগুলো থেকেই ব্যবহার করতে পারবে ভুটান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ভুটান বর্তমানে এ দেশের বুড়িমারী ও তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে। তৃতীয় দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য ভুটান চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে আসছে। বাংলাদেশ এ দুটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ এবার ভুটানকে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য হালুয়াঘাট ও নাকুগাঁও স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম রাষ্ট্র ভুটান।
বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ভুটানের এই ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে অনেক সফর বিনিময় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী মাসের মাঝামাঝি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে কাজ চলছে।