অবশেষে জামিন পেলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আসছে ২ এপ্রিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
কিরণের আইনজীবী লিয়াকত হোসেন জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।আদালতের পেশকার পারভেজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গেল শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান জামিন নামঞ্জুর করে কিরণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেদিন থেকে কারাগারেই ছিলেন তিনি। জামিন পাওয়ায় ও বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না।
গেল ১২ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী মামলা আমলে নিয়ে কিরণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আসছে ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেফায়েতুল করিম লেলিন বলেন,প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে কিরণের বিরুদ্ধে গেল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স মানহানি মামলা করেন। তাতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গেল ৮ মার্চ বাফুফের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়ামোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে হীন মানসিকতা নিয়ে তাকে, ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ ফুটবল সংগঠকদের উদ্দেশে কিরণ বলেন, পিএম হিসেবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সেখানে কেন দু’চোখে দেখবে? মেয়েরা ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে, মিডিয়ায় কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বিএফএফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে দেয়াবে? বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বোর্ড সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট,গাড়ি পেয়ে যায়। ফেডারেশন সরকারের কাছ থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।
পরে কিরণের বক্তব্য গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। তার এমন বক্তব্যে বাদীর ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে আদালতে মামলাটি করা হয়।