ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল গুরুতর আহত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সম্প্রতি ইরানে ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমার শুটিংয়ে উটের পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মারাত্মক আহত হন। দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসাব্যবস্থা অপ্রতুল থাকায় তেহরান থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী এসফাহনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঢাকায় আসেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকলে তাকে থাইল্যান্ডে নেয়া হয়।
অনন্ত জলিলের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমার ইরান অংশের মূল পরামর্শক ও উপদেষ্টা ড. মুমিত আল রশিদ।
তিনি জানান, এসফাহনের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর জানা গেছে, অনন্ত জলিল বুকের পাঁজরে মারাত্মক ব্যথা পেয়েছেন। তাকে দুই সপ্তাহের সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমার শুটিং স্থগিত রাখা হয়েছে। আহত হওয়ার পর অনন্ত জলিল ঢাকায় ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর তার বুকের ব্যথা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। সেখান থেকে তাকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন।
কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেই দর্শকদের প্রিয় মুখ হয়ে উঠেন অনন্ত জলিল। দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে থেকে ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ‘দিন- দ্য ডে’ সিনেমার কাজ শুরু করেন।
সিনেমাটি নির্মাণ করছেন ইরানের স্বনামধন্য পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম। এতে বাংলাদেশ থেকে অভিনয় করছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। তাদের সঙ্গে দেখা যাবে সুমন ফারুককে।
এছাড়া ইরান ও লেবাননের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা এতে অভিনয় করবেন বলে জানা গেছে।
‘দি-দ্য ডে’ সিনেমাটির মূল ভাষা বাংলা রেখে ফারসি, আরবি ও ইংরেজিতে ডাবিং করে একই সময়ে বাংলাদেশসহ ইরানের বিভিন্ন সিনেমা হল ও বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি গল্পের প্রয়োজনেই সিনেমার শুটিং হবে ইরান, লেবানন ও সিরিয়ায়।
ইরানের বিখ্যাত নগরী ইস্পাহান, শিরাজ থেকে শুরু করে লেবাননের বৈরুতের অসাধারণ দৃশ্য যেমন দেখা যাবে, তেমনিভাবে আইএসআই জঙ্গিদের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত সিরিয়ার দামেস্কের আশেপাশের বিভিন্ন শহর, আলেপ্পো, হাম্মাম নগরীর হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখেও শিহরিত হবেন দর্শকরা-এমনটাই জানিয়েছেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুমিত আল রশিদ।