ঘরে বসেই ঝামেলা ছাড়া কেনাকাটায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন বেচাকেনা। ই-কমার্স এসোসিয়েশন(ই-ক্যাব) এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে অনলাইনে বিক্রি হয় ১০০০ কোটি টাকার পণ্য ,২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০০ কোটি টাকা আর ২০১৮ সালে তা ৪০০০ কোটিতে উন্নিত হয় ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স কোম্পানি আমাজন বাংলাদেশে প্রবেশের আগ্রহে শংকায় পড়েছে স্থানীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।তারা বলছে আমাজন বাংলাদেশে আসলে তারা পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করতে পারবে না ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন(ই-ক্যাব) এর রেজোয়ানুল হক জামি জানান, আমাজন বিশ্বের ৩-৪ টি বড় কম্পানিদের একটি। এই প্রতিষ্ঠান আসলে বাংলাদেশের ক্রেতারা যেমন উন্নত বিশ্বের মত অনলাইন কেনাকাতার সুবিধা পাবেন তেমনি লোকাল উদ্যোগতাদের টিকে থাকতে হলে স্বচ্ছতার সাথে ব্যবসা করতে হবে।
অনেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স এর নামে যেসব বড় ও লোকাল প্রতিষ্ঠান আছে তারা সৎভাবে ব্যবসা করেন না। বিশ্ববিখ্যাত ইলেক্টনিক কম্পানি যেমন শাওমি,আসুস,জে-টিইসহ অনেক কম্পানি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য সুলভ মূল্যে বিভিন্য পণ্য বাজারে আনে । অথচ বাংলাদেশে যখন এসব পন্য লোকাল দোকানের মাধ্যমে প্রবেশ করে তারা ট্যাক্স এর দোহাই দিয়ে চড়া মূল্য রাখে।
উদাহরন স্বরুপ ধরুন, ভারত সহ আশেপাশের দেশে শাওমি,আসুস,অপ্পোসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সুলভ মুল্যে স্মার্টফন বাজারে আনে কিন্ত বাংলাদেশে আসলে তার দাম অবস্থা ভেদে ৫-৭ হাজার টাকা বেশি রাখা হয়।
বাংলাদেশে আমাজনের প্রবেশের ব্যাপারে তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, সরকারের প্রনীত ই-কমার্স নীতি অনুসরন করেই আমাজনকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হবে।
কিছুদিন আগেই ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে প্রবেশ করা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স কোম্পানি আমাজন প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ই কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে। শতভাগ সরাসরি বিনিয়োগ নিয়ে ২০২০ সালের শুরুতেই বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করবে আশা কোম্পানিটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের।
চলতি বছরেই বাংলাদেশে সফরকালে আমাজন কর্তৃপক্ষ অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), ব্যাংকিং খাত, বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠক-আলোচনা করে গেছেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করার পাশাপাশি সরকারের একশপ ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসের অবকাঠামোগত সুবিধা চেয়েছে আমাজন। যদিও এখন পর্যন্ত একশপ অ্যামাজনের সঙ্গে যুক্ত নয়।