রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় এক নৃতাত্ত্বিক রাখাইন নেতা ও এক লেখককে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমারের একটি আদালত।
দেশটির নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে মঙ্গলবারের এ রায় ক্ষোভকে আরও তীব্রতর করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।-খবর এএফপি
আই মোং নামে ওই নৃতাত্ত্বিক নেতা মিয়ানমারে খুবই সুপরিচিত। রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে যখন রায় ঘোষণা করা হচ্ছিল, তখন তার শত শত সমর্থককে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছিল।
রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কট্টর দৃষ্টিভঙ্গি লালন করা আরাকান ন্যাশনাল পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান আই মোং।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে উসকানিমূলক বক্তব্য ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওই বক্তব্য দেয়ার একদিন পরেই সেখানে প্রাণঘাতী দাঙ্গা হয়েছিল।
সরকারের বিরুদ্ধে নৃতাত্ত্বিক রাখাইনদের দাস হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আই মোং বলেন, সশস্ত্র সংঘাতে নেমে যাওয়ার এটিই উপযুক্ত সময়।
ওই দিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা একটি সরকারি ভবন ঘেরাও করলে পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে সাতজনকে হত্যা করেছিল।
আই মোং ছাড়াও লেখক ওয়া হিন আউং বক্তৃতা দিয়েছিলেন সেদিন। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওয়া হিন আউংয়ের আইনজীবী বলেন, তাদের দুজনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাদের সাজা দেয়া হয়।
২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিক থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে হত্যা, ধর্ষণ, অঙ্গহানি ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিবরণ পাওয়া গেছে।
তবে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করা নৃতাত্ত্বিক রাখাইন জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করছে।