নির্বাচন কমিশন (ইসি) তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ১০টি উপজেলার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি এসব কেন্দ্রে ট্যাব ব্যবহার করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নজরদারির আওতায় আনা হবে বলে দাবি করছে।
তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ও চতুর্ধ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া ১৮ জুন পঞ্চম ও শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দুটি পরিপত্র জারি করা হয়।
উপজেলা ১০টি হলো- মেহেরপুর সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ৭৭), মানিকগঞ্জ সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ১০২), গোপালগঞ্জ সদর (কেন্দ্র ১১৪), রংপুর সদর (কেন্দ্র ৪৭), কক্সবাজার সদর (কেন্দ্র ১০৮), বাগেরহাট সদর (কেন্দ্র ৯১), ফেনী সদর (কেন্দ্র ১২৭), মুন্সীগঞ্জ সদর (কেন্দ্র ১১৬), ময়মনসিংহ সদর (কেন্দ্র ১০০) ও পটুয়াখালী সদর (কেন্দ্র ৮৯)।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের চারটি ও চতুর্থ ধাপের ছয়টি উপজেলা সবগুলোতে ট্যাব ব্যবহার করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক সচিত্র প্রতিবেদন এবং ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল পাঠানো হবে।
ইভিএম সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়, ভোটগ্রহণ চলাকালে ইভিএম মেশিনে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বা মেশিন প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত কারিগরি সদস্যরা তা সচল বা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ ট্যাবে প্রতিবেদন ও ফলাফল এন্ট্রি সংক্রান্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ওই কারিগরি সদস্যরা প্রিজাইডিং অফিসারকে সহায়তা করবেন। ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে নিয়োজিত কারিগরি সদস্যরা মোবাইল টিম/কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নিমিত্তে মোবাইল ফোন বহন ও ব্যবহার করতে পারবেন।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইভিএমের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল কেন্দ্র থেকেই ট্যাবের মাধ্যমে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে বলেও বৃহস্পতিবার জারি করা পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।