ভীতু নেতাকর্মীদের দায়িত্ব ছাড়তে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকৎসা ও নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলাধীন দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে অনশন কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৩০শে ডিসেম্বরে নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এখন বিএনপি নয়, দেশের মানুষের দুঃশাসন চলছে। এটা থেকে রক্ষা পেতে হলে বিএনপিকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই আমি বলবো, যারা মামলা মোকাদ্দমায় ভয় পান, তারা দয়া করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা ভয় পাবেন না, তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, মহাসচিব ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলবো যারা মামলা মোকাদ্দমা উপেক্ষা করে রাজপথে থেকে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করবে তাদের দায়িত্ব দেন।
এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে খুশির বিষয় হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সবই মিথ্যা। যে সব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমন কোনো ঘটনায় ঘটেনি। টাকা যা ছিল তা তিনগুন হয়ে ব্যাংকে আছে। তারপরও দেশনেত্রীকে ওই মামলা সাজা দেয়া হয়েছে। ইতিহাস বলে কোনো দেশে জনগণের নেতাকে মামলা, সাজা দিয়ে বেশি দিন আটকে রাখা যায় না। খালেদা জিয়াকেও রাখা যাবে না।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হৈ গেছে উল্লেখ ফখরুল বলেন, আমরা প্রমাণ করবো দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজনে গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।
পরে অনশনকারীদের পানি খাওয়ায়ে অনশন ভাঙান মির্জা ফখরুল। অনশনে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটি সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।