নদীতীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শক্তিশালি করার ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট

১৯৮ স্থাপনা উচ্ছেদ, দুই একর জায়গা উদ্ধার
উচ্ছেদ অভিযান। ফাইল ছবি

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ নদীতীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে দৈনিক জনতা ও প্রিমিয়ার নিউজ সিন্ডিকেট লিমিটেড (পিএনএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

অনুষ্ঠানে নৌসচিব বলেন, নদীতীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালি করা হবে। উচ্ছেদকৃত নদীতীর যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য সেখানে বনায়ন এবং শক্ত মজবুত সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হবে। নদীতীর দখলমুক্তের পাশাপাশি নদীর দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে সমস্ত উৎস মুখ দিয়ে নদীর পানি দূষিত হয় সেসব উৎস মুখ বন্ধ করা হবে। শিল্প কারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি যাতে নদীতে না পড়ে সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরো কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর তলদেশের বর্জ্য উত্তোলন ও নদীর পানি দুর্গন্ধমুক্ত করতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার সার্কুলার নৌপথকে দুর্গন্ধমুক্ত করে পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, নদী, নদীর তীরভূমি রক্ষা এবং নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বাজেটে বরাদ্দ দিচ্ছেন। নদীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর যেমন দরদ ছিল, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে পানি সম্পদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ঘোষণা করেছেন। প্ল্যান অনুযায়ী নদী, খাল, বিল ও পুকুর খনন করে সেখানে জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। জলাধারে বন্যা, বৃষ্টি ও ঝর্ণার পানি সংরক্ষণ করে সে পানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো হবে।

তিনি আরো বলেন, নদীগুলোকে পরিস্কার করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নদী রক্ষায় যারা সহায়তা করবে তাদের জন্য ‘জাতীয় নদী রক্ষা পুরস্কারের’ ব্যবস্থা থাকবে।

পিএনএস’র প্রধান সম্পাদক শাহাবুদ্দিন শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ আন্ওয়ার, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ওয়ারপোর সাবেক মহাপরিচালক ম. ইনামুল হক এবং বুয়েটের পানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুজিত কুমার বালা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে