সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) গোরি মোহাম্মদ ওয়াসিম আব্বাস (২১) নামে এক ছাত্রকে চালক ও হেলপারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জের ধরে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার বিকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুরে উদার পরিবহনের ওই বাসের চাপায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওয়াসিম সিকৃবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রীরা জানান, সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী উদার পরিবহনের বাসটির চালক ও হেলপারের সঙ্গে সিকৃবির কয়েকজন ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। শিক্ষার্থীরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে নামতে চাইলে বাস থেকে কয়েকজনকে নামিয়ে দিয়েই দ্রুত গতিতে চলতে থাকে।
এ সময় ওয়াসিম বাসের দরজার হাতল ধরে ঝুলতে থাকলে হেলপার গাড়ির দরজা লাগিয়ে দেন এবং চালক বাস না থামিয়ে চালাতে থাকেন।
এতে ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন। পরে দ্রুত ওয়াসিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সিকৃবির ছাত্র শিপলু রায় বলেন, তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নবীগঞ্জের টোলপ্লাজা থেকে উদার পরিবহনে ওঠেন। সিলেট-ময়মনসিংহ সড়কে নামার সময় হেলপার তাদের ধাক্কা দেন এবং জোর করে দরজা লাগিয়ে দেওয়ায় ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন।
এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, উদার পরিবহনের বাসটি (ঢাকা গ ১৪-১২৮০) তারাকান্দি, মধুপুর হয়ে ময়মনসিংহ সড়কে চলাচল করে। ওয়াসিমসহ সিকৃবির কয়েকজন ছাত্র ঘটনাস্থলে নামার সময় হেলপার বাসের দরজা লাগিয়ে দেন। পরে চালক বাস দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসিম বাসের নিচে পড়ে নিহত হন।
তিনি জানান, বাসটিকে ওসমানী নগরের বেগমগঞ্জ থেকে ধাওয়া করে পুলিশ আটক করে। তবে ঘটনার পর থেকে চালক ও হেলপার পলাতক।