পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুরের পাঁচ উপজেলার ৪৫৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল না।
সরেজমিন দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা-ই আলিয়া, রায়পুরের কেরোয়া ছবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লুধুয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এর মধ্যে কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৩টি এবং ছবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় ঘণ্টায় ৩৫ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার।
এদিকে রায়পুরের পশ্চিম কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার রুহুল কবির বলেন, নৌকা ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ট আসেনি। স্বাক্ষরও নিতে পারিনি।
তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জামাল পাটওয়ারী বলেন, নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট এখানে দরকার নেই।
জেলা নির্বাচন অফিসসূত্র জানায়, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪৫৮ ভোটকেন্দ্রে ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর, সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন প্রার্থীসহ ৬৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া রামগঞ্জে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুরাইয়া আক্তার শিউলি বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪৬ টি ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়স্ত্রণের জন্য জেলায় ১৯শ পুলিশ সদস্য, ১১ প্লাটুনে ২২০জন বিজিবি, ১০ প্লাটুনে ৮০জন রব সদস্য ও ৫ হাজার ৪৯৬জন্য আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।