অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাস পাওয়া অপর তিন আসামি হলেন- হিযবুত তাহরীরের যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, হিযবুত তাহরীর সদস্য তানভীর আহম্মেদ ও আবু ইউসুফ আলী ।
অপরদিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় হিযবুত তাহরীরের সদস্য সাইদুর রহমান ও তৌহিদুল আলমের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
আজ সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুর রহমান ও তৌহিদুল আলম পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরা থানাধীন ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের কিছু সদস্য সরকারবিরোধী লিফলেট ও পোস্টার বিলি এবং জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য পেট্রলবোমা নিয়ে আসেন। এ খবর পেয়ে উত্তরা থানার উপ-পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমীন হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ১৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সাতজন সাক্ষ্য দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, হিযবুত তাহরীর সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, আবু ইউসুফ আলী ও তৌহিদুল আলম।