বান্দরবানে বিপজ্জনকভাবে ওভারক্রসিং করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ট্রাকচালককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে বান্দরবানের সব রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের রেইছা এলাকায় মোড়ের মধ্যে বিপজ্জনকভাবে কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক আরেকটি গাড়ি ওভারক্রস করে। এ সময় আলীকদমের ইউএনও এর গাড়িটি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তাঁরা।
এ ঘটনায় ট্রাকচালক মো. জাহাঙ্গীরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বান্দরবানের সব রুটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এদিকে হঠাৎ ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অটোরিকশাগুলো থেকেও যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুভ্রত দাশ ঝুন্ট বলেন, নিয়ম না মানার অভিযোগে ট্রাকচালককে অন্যায়ভাবে ছয়মাসের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কাঠবোঝাই থাকায় মূলত আলীকদমের ইউএনও এর গাড়িকে সাইট দিতে দেরি হওয়ায় এ সাজা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে অনিদিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
তবে আলীকদম ইউএনও মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, আলীকদম থেকে বান্দরবান আসার পথে রেইছা এলাকায় মোড়ের মধ্যে কাঠবাহী একটি ট্রাক আরেকটি গাড়িকে বিপজ্জনকভাবে ওভারক্রসিং করতে গিয়ে আমার গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের উপক্রম হয়। কিন্তু আমার চালক দ্রুত গাড়িটি রাস্তার পাশে নামিয়ে দেয়ায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। তাৎক্ষণিক গাড়িচালক ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চান।
বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালককে কারাদণ্ড দেন। আইনের মানুষ হয়ে আমরা যদি ব্যবস্থা না নেই, তা হলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। দোষ স্বীকারের পর সাজা দেয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘট করা মানে তো আইনের প্রয়োগ বন্ধ করা।