বাংলাদেশ বিশ্ব আইওটি মানচিত্রে স্বীকৃতি পেল

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

বাংলাদেশ বিশ্ব আইওটি মানচিত্রে স্বীকৃতি পেল
বাংলাদেশ বিশ্ব আইওটি মানচিত্রে স্বীকৃতি পেল। ছবি : ইন্টারনেট

দক্ষিণ এশিয়ায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক সুবিধা চালু করা শীর্ষ অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোনকে স্বীকৃতি দিল মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন ‘জিএসএমএ’। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবেও এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

‘জিএসএমএ’র এই স্বীকৃতি একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোনকে আইওটি’র বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছে।

universel cardiac hospital

ন্যারো ব্যান্ড ইন্টারনেট অব থিংস (এনবি-আইওটি) এক ধরনের অত্যাধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি যা প্রতিদিন ওয়েস্ট বিন ও পাওয়ার মিটারের মতো সারাদেশে কোটি মানুষের জন্য যোগাযোগে সংযোগ নিশ্চিত করে। এনবি-আইওটি অনেক বেশি জ্বালানী সাশ্রয়ী। নিয়মিত ৪জি যোগাযোগে যে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হয় এনবি-আইওটি প্রযুক্তিতে তা হবে অনেক সাশ্রয়ী।

অর্থাৎ, সেন্সর ও মিটারের কাভারেজ থাকবে এমন সব রিমোট জায়গাতেও যেখানে ফোন কল করতেও সমস্যা হতে পারে সেখানে এনবি-আইওটি খুব সহজেই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে পাইপ কিংবা নালায় স্থাপিত ওয়াটার মিটার কিংবা বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের সেন্সরও এখন থেকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা যাবে।

গ্রামীণফোন বিদ্যমান ৪জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে এনবি-আইওটি’র সক্ষমতা বৃহৎ পরিসরে আইওটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ইউটিলিটি ও মিউনিসিপ্যালিটিকে আইওটি যোগাযোগে আলাদা নেটওয়ার্ক তৈরি ও চালনার প্রয়োজন হবে না। স্মার্ট ইলেকট্রিসিটি/গ্যাস/ওয়াটার ইটারিং, সিটি পার্কিং, সিটি লাইটিং, যানবাহনে এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে বিভিন্ন শিল্পখাতে অটোমেশন সমাধান করা যাবে।

২১ ফেব্রুয়ারি জিএসএম’র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৫টি দেশের একটি যেখানে এনবি-আইওটি সুবিধাসম্পন্ন বাজার রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক রয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে