ইসরাইলি দখলদার বাহিনী যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের আক্রমণে নেমেছে। রামাল্লা ও বেলথহামসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইসরাইলি বাহিনী। সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসায় সহায়তাকারী এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করলে সংঘর্ষ জোরালো হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ইরসরাইলি বাহিনীর একটি সামরিক জিপ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর এএফপির।
আজ বুধবার সকাল থেকে কয়েক দফা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়িতে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। তারা পশ্চিম তীরের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ১১ জনসহ মোট ১৯ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করে।
এদিকে, সোমবার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে তেল আবিব রকেট হামলা করলে এর জবাবে সন্ধ্যা থেকে দখলদার ইসরাইল বাহিনী প্রচণ্ড হামলা শুরু করে। মিসরের মধ্যস্থতায় সোমবার রাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও মঙ্গলবার সকালে ফের হামলা শুরু করে ইসরাইল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্তের কাছকাছি ইসরায়েলিদের লক্ষ করে রকেট হামলার শব্দ শোনা গেছে। হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। মঙ্গলবার রাত থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করে তারা।
দি পেলেস্টাইন ইরফরমেশন সেন্টার জানায়, হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিদের বসতবাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইসরাইল। বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৯ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে তারা। তবে ইসরাইল সেনাবাহিনীর দাবি, সংঘাতে না জড়াতে সতর্ক করতে তারা ফিলিস্তিনি ঘরগুলোতে গিয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনী তল্লাশির নামে প্রায়শই পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। ফিলিস্তিনিদের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক ৫৭০০ ফিলিস্তিনি অমানবিক জীবনযাপন করছে। যার মধ্যে ৪৮ জন মহিলা এবং ২৩০ জন শিশু।