শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলাসহ ৫ দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন তাঁরা।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকারও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইমামুল হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যাম্পাসে। কিন্তু ফুল দেয়া ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠানে (মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলা হয়।
এর প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন নামেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, মঙ্গলবার কিছু শিক্ষার্থী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার পাঁয়তারা করে। তারা অনুষ্ঠান হতে দেবে না বলে চেষ্টা করে। যারা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার পাঁয়তারা করে তারা রাজাকার নয় তো কি? এখন কি আমি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইব?
আন্দোলনকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে এবং তাদের ইন্ধনেই কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনের নামে অরাজকতা করছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ও ২১ ফেব্রুয়ারিসহ জাতীয় দিবসগুলোতে ছাত্র-শিক্ষক সবার উন্মুক্ত অংশগ্রহণে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, মঙ্গলবার বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক পরিচালনা কমিটি শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত করা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভা-সেমিনারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা করা এবং টিএসসি সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে সেখানে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রাখা।