শাকিব খান ঢালিউড সাম্রাজ্যের কিং। গত ১৩ বছর ধরে রাজার মতই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চলচ্চিত্র অঙ্গন। শুধু ঢালিউড নয়, কাজ করেছেন টলিউডেও। সেখানেও উপহার দিয়েছেন শিকারী, নবাব, ভাইজান এলোরে’র মতো সুপারহিট ছবি। ২৮ মার্চ ঢালিউড কিং শাকিব খানের জন্মদিন।
পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জে হলেও বাবার চাকরির সুবাদে নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠেন শাকিব খান। ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন শাকিব খান। কঠোর পরিশ্রমের পর ২০০৭ সাল থেকে রাজত্ব শুরু করেন ঢাকাই ছবির এই বরপুত্র।
সে বছরই শাকিব খান অভিনীত হাফ ডজন ছবি সুপারহিট হয়। ওই বছর থেকে শাকিবের উত্থান শুরু। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নায়ক মান্নার জীবদ্দশায় শাকিব খান সাফল্য পেতে শুরু করেন।
একে একে উপহার দিয়েছেন কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, আমার স্বপ্ন তুমি, এক বুক জ্বালা, সন্তান আমার অহংকার, প্রিয়া আমার প্রিয়া, জান আমার জান, কিংখান, নাম্বার ওয়ান শাকিব খানসহ অসংখ্য সুপারহিট ছবি। শুধু নায়ক নয়, প্রযোজক হিসেবেও তার প্রথম ছবি ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’-এ অভূর্তপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন।
চলচ্চিত্রে মন্দার বাজার বিরাজমান, তবুও তিনি আশা জাগাতে পারেন। এই মন্দা সময়ে আবারও প্রযোজনা শুরু করেছেন চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষের ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন শাকিব। এটাই তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব, এমনটাই মনে করেন চলচ্চিত্রের প্রবীন মানুষেরা।
অনেক সমালোচনা আছে- অভিনয়ের, গল্পের, চরিত্র বাছাইয়ের, তবু তিনি হাল ধরে আছেন ইন্ডাস্ট্রির। সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীন-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন তিনি।